বাংলাদেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যুর সব ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়েছে ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিশনগুলো।
সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করে বলা হয়, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সন্দেহভাজন অপরাধীদের মৃত্যুর প্রতিটি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবে।
ঢাকায় ইইউ দেশগুলোর মিশনপ্রধানদের সম্মতিতে ইইউর স্থায়ী প্রতিনিধির পক্ষে এই বিবৃতি দেওয়া হয়।
মাদকের অপব্যবহার এবং অবৈধ পাচারকে বৈশ্বিক সমস্যা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের মাদক বিরোধী অভিযানে ৪ মে পর্যন্ত ১২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে আইন ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেইসঙ্গে তারা যাতে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগে না করে- তা নিশ্চিত করার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয় বিবৃতিতে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, মৃত্যুর ঘটনাগুলো ঘটছে অভিযান চালানোর সময় মাদক চোরাকারবারিদের সঙ্গে গোলাগুলিতে কিংবা মাদক বিক্রেতাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে।
তবে মানবাধিকারকর্মীরা ‘বন্দুকযুদ্ধ’ মৃত্যুর ঘটনাগুলো নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলছেন। মাদকের উৎস বন্ধ না করে এভাবে ‘বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ ঘটিয়ে অভিযানের সফলতা আসবে না বলেও দাবি তাদের।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রম আন্তর্জাতিক আইন ও রীতি অনুযায়ী পরিচালনার কথা বলা হয়। এছাড়াও বাহিনীর শক্তি প্রয়োগে যথাযথ সেফগার্ড রাখার কথাও বলা হয় বিবৃতিতে।